ভালো খবর

আবর্জনার স্তূপ থেকে আস্ত অরণ্য : সৌজন্যে কর্ণাটকের প্রাক্তন প্রযুক্তিবিদ

টিম সিলি পয়েন্ট July 6, 2023 at 4:43 am ভালো খবর

প্রযুক্তি সংস্থার চাকরি ছেড়ে হয়েছেন পূর্ণ সময়ের পরিবেশযোদ্ধা। তৈরি করেছেন‘Mangalore Green Brigade’। তাঁরই পরিশ্রমে আজ কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার পাচনাদি ডাম্পিং গ্রাউন্ড বদলে গেছে ঘন সবুজ অরণ্যে। তিনি মেঙ্গালুরু (Mangalore) শহরের বাসিন্দা প্রাক্তন প্রযুক্তিবিদ জিৎ মিলান রোচে (Jeeth Milan Roche)। প্রতি বছর তিনি প্রায় ১২ হাজার গাছ রোপণ করছেন মেঙ্গালুরু শহরে।

কোভিড মহামারীর সময়ে মানসিক অবসাদের শিকার হন জিৎ। সে-সময় তাঁকে বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিল বৃক্ষরোপণের নেশা। অচিরে তিনি এই কাজেই নিজের শান্তির ঠিকানা খুঁজে পান এবং চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজেকে পুরোপুরি নিয়োজিত করেন গাছ লাগানোর কাজে। পাচনাদি ডাম্পিং গ্রাউন্ডের  কাছাকাছি যারা বাস করেন, দুর্গন্ধে একসময় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠত তাঁদের। একটি স্কুলও আছে এলাকায়। তাজা বাতাসের অভাবে ভুগত পড়ুয়ারাও। জিৎ তাঁর দলবল নিয়ে শুধুমাত্র ২০২০ সালেই ১৫৭০ চারা লাগিয়ে তাঁদের এই মহৎ উদ্যোগের সূচনা করেন। বাকি গল্পটুকু রূপকথার মতোই। ভোল পাল্টে যায় পচনাদি ডাম্পিং গ্রাউন্ডের। অবশ্য শুধু এই আস্তাকুঁড়ের চেহারা বদলে দেওয়াই নয়, গোটা শহরকেই সবুজ গালিচায় মুড়ে দিয়েছেন জিৎ। মেঙ্গালুরুর রাস্তার দুধারে লাগিয়েছেন অসংখ্য গাছ। তাছাড়াও, শহরের ২৩টি সমাধিক্ষেত্র ও প্রচুর পার্কে বৃক্ষরোপণ করেছেন জিৎ। মূলত তিনি বেছে নিয়েছেন শাল, সেগুন, রোজউড, বট, অশ্বত্থ ইত্যাদির মতো বৃক্ষজাতীয় গাছকে। কারণ এই গাছেরা ভূমিক্ষয় রোধ করে। তাছাড়া এদের কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে একটি পরিপূর্ণ প্রাণচক্র। শুধু গাছ লাগানো নয়, গাছেদের বেড়ে ওঠায় ধারাবাহিক নজরদারি চালায় জিতের দল। গাছ কাটা রোধ করতেও তাঁরা সমান সক্রিয়। সব মিলিয়ে বদলে যেতে বসেছে মেঙ্গালুরু শহর। জিতের এই মডেল অনুসরণ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বড় বড় আবর্জনার স্তূপের চেহারা পাল্টে দেওয়া যেতেই পারে। 

...............

তথ্যঋণ : thebetterindia.com 

 

#Jeeth Milan Roche #Environmental Activist #Environment #Plant Tree #silly পয়েন্ট

Leave a comment

All fields are required. Comment will appear after it is approved.

trending posts

newsletter

Connect With Us

today's visitors

85

Unique Visitors

183105