বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

জগদীশ-নিবেদিতা সংবাদ (সপ্তম পর্ব)

অর্পণ পাল 11 days ago বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

..................

পর্ব ৭। জগদীশচন্দ্রের দ্বিতীয় বিদেশ সফর ও স্বামীজী-নিবেদিতা 


মূলত জার্মানির মেলা-আয়োজনকে টেক্কা দিতে ১৮৯২ সালের জুলাই মাসে ফ্রান্স হঠাৎ ঘোষণা করে, ১৯০০ সালে তাদের দেশে এমন এক আন্তর্জাতিক মিলনমেলা বসবে, যা ফুটিয়ে তুলবে সদ্য শেষ হতে চলা উনিশ শতকের পুরো সময়কালের বর্ণময় বৈচিত্র্যকে, পুরনো শতকের যা-কিছু আবিষ্কার সভ্যতার রঙ বদলে দিয়েছে সেগুলো তুলে ধরা হবে মেলা জুড়ে। 

সুতরাং, এপ্রিলের পনেরো তারিখ থেকে নভেম্বরের এগারো, এই ২১২ দিন ব্যাপী ‘Exposition Universelle’ নামে এক মহামেলার আসর বসল প্যারিস শহরে, মহা হুলস্থুলুর মধ্যে দিয়ে। একটা শতাব্দ থেকে অন্য শতাব্দতে উত্তরণ-মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে সব ক’টি দিন মিলিয়ে পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ এসেছিলেন এই মেলায়, যোগ দিয়েছিল ৪২টা দেশ আর ২৫টি উপনিবেশ। ১৪ই এপ্রিল শুরু হয়ে এই মেলা চলেছিল নভেম্বর মাস অবধি। মেলার অফিশিয়াল উপলক্ষ্য হিসেবে ঘোষিত হয়েছিল ‘গত এক শতকে মানবসভ্যতার বিভিন্ন দিকে যে অভূতপূর্ব উন্নতি হয় তা উদযাপন করতে, এবং সামনের শতকে সেই উন্নতির গতি কোন ধারায় কতটা ত্বরান্বিত হবে সে সম্পর্কে এক সামগ্রিক ইঙ্গিত দিতে।’ (* জগদীশ ও নিবেদিতা, দেবাঞ্জন সেনগুপ্ত, গাংচিল, ৪৪ পৃ)। 

প্রসঙ্গত, এই মেলা উপলক্ষ্যে অলিম্পিকের আসর এবং বিশিষ্ট ভাস্কর অগাস্ট রদ্যাঁর ভাস্কর্য ও চিত্র প্রদর্শিত হয় সর্বসাধারণের জন্য। 

ভারত থেকে এই বিশ্বমেলায় উপস্থিত ছিলেন দু-জন উজ্জ্বল ব্যক্তি— জগদীশচন্দ্র আর স্বামী বিবেকানন্দ। 

এই বিশ্বমেলারই অঙ্গ হিসেবে আয়োজিত হয়েছিল পদার্থবিজ্ঞানীদের এক কংগ্রেস। সেখানে বলবার জন্য আমন্ত্রণ এসে পৌঁছয় ব্রিটিশ উপনিবেশ ভারতের জগদীশচন্দ্র বসুর কাছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল এই যে, তাঁর এই বিদেশে আসাটা প্রায় বাতিলই হয়ে যাচ্ছিল সরকারী উদাসীনতার কারণে। যদিও শেষ পর্যন্ত নানা টালবাহানার পর সে অনুমতি মিলেছিল, এবং জগদীশচন্দ্র তাঁর এই দ্বিতীয় বিদেশ সফর শুরু করেন ১৯০০ সালের জুলাই মাসের গোড়ার দিকে। রবীন্দ্রনাথকে লেখা তাঁর একাধিক চিঠি থেকে জানা যায় যাত্রা-পূর্বের অনিশ্চয়তা এবং মানসিক অশান্তির আখ্যান। ‘এস এস অ্যারাবিয়া আডেন’ নামের জাহাজে পাড়ি দেওয়ার ফলে যে শারীরিক অসুস্থতা, সে বিবরণও তিনি লিখেছিলেন বন্ধুকে। যাই হোক, অনেক বাধা-বিঘ্ন পেরিয়ে জগদীশচন্দ্র লন্ডন পৌঁছন এবং সেখান থেকে আসেন প্যারিসে। 


প্যারিস সম্মেলন ও স্বামীজীর অংশগ্রহণ  

প্যারিস কংগ্রেসে যোগ দেবেন স্বামীজি, এমনটা ঠিক হয়েছিল কিছু আগেই; আর এর কিছু কারণও ছিল। প্রথমত, মঠ ও মিশনের জন্য অর্থ সংগ্রহ; দ্বিতীয়ত, স্বামীজির অবর্তমানে ইংল্যান্ডে বেদান্তধর্ম ও ভারতীয় সংস্কৃতি প্রচারের কাজে বেশ ভাঁটা এসেছিল, সে ব্যাপারটাকে আবার চালু করা দরকার; তৃতীয়ত, ভগ্নস্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার। পাশাপাশি নিবেদিতারও পশ্চিমাভিমুখে যাত্রা অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছিল, কারণ তাঁর নিজের সঞ্চয়ও তখন শেষের মুখে, আশু বিদ্যালয় পরিচালনা এবং অন্য প্রয়োজনে অর্থ প্রয়োজন। এছাড়া মা-বোনকে একবার দেখে আসাও জরুরি ছিল। 

সুতরাং স্বামীজি, ভগিনী নিবেদিতা আর স্বামী তুরিয়ানন্দকে নিয়ে জাহাজে চেপে বসলেন। 

২০ জুন, ১৮৯৯ তারিখে কলকাতার প্রিন্সেপ ঘাট বন্দর থেকে বিকেলবেলা ‘এস এস গোলকোন্ডা’ জাহাজে চেপে স্বামীজি পশ্চিমের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। তাঁকে বিদায় জানাতে আসেন মঠের সমস্ত সদস্য এবং বেশ কিছু সাধারণ ভক্ত। জগদীশচন্দ্রের বিদেশ পাড়ি দেওয়ার এক বছরেরও কিছু আগে স্বামীজী এবং নিবেদিতা কলকাতা ছাড়েন। তাঁদের এই জাহাজযাত্রার বিবরণ পরবর্তীকালে স্বামীজী তাঁর অননুকরণীয় ভাষায় ও ভঙ্গীতে লিখে রেখেছিলেন ‘পরিব্রাজক’ গ্রন্থে। 

স্বামীজী প্রথমে আসেন ইংল্যান্ডে। এই সফরেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় ঘটে নিবেদিতার মা ও ভাই রিচমণ্ডের সঙ্গে। এবং আরও একজনের সঙ্গে, যিনি পরবর্তীকালে নিবেদিতার সঙ্গে বিবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়বেন ভারতে আসবার পর। তাঁর নাম ক্রিস্টিন গ্রিনস্টাইডেল (তাঁর জীবনসীমা ১৮৬৬ থেকে ১৯৩০), জাতিতে জার্মান, এবং তখন তাঁর বয়স চৌত্রিশ। 

ইংল্যান্ডে দিন পনেরো কাটাবার পর স্বামীজী যাত্রা করেন নিউ ইয়র্কে। নিবেদিতা রয়ে যান ইংল্যান্ডে, তাঁর বোন মে-র বিয়ে ঠিক হয় এইসময়। অনেকদিন পর পরিবারের সবার সঙ্গে মিলিত হওয়া, এবং প্রিয় বোনের বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারার আনন্দে নিবেদিতা বিভোর। যদিও বিয়ের সবকিছু মিটে যাওয়ার পর তিনি আবার স্বামীজীর জন্য অধীর হয়ে পড়লেন, এবং অবশেষে আমেরিকায় স্বামীজীর কাছে চলে এলেন সেপ্টেম্বর মাসে। 

১৮৯৯ সালের বাকিটা এবং ১৯০০ সালের জুন মাস অবধি আমেরিকায় কাটিয়ে জুনের ২৮ তারিখে নিবেদিতা প্যারিস যাত্রা করলেন। আমেরিকার বিভিন্ন শহরে তিনি তাঁর স্কুলের জন্য অর্থসংগ্রহ করেছেন, একাধিক জায়গায় বক্তৃতা দিয়েছেন, এবং বেশ কয়েকজনের সঙ্গে ভালো বন্ধুত্বও স্থাপন করেছেন। যেমন বস্টন শহরে থাকবার সময় তাঁর আলাপ হয় বিপিনচন্দ্র পালের সঙ্গে। 

নিবেদিতার প্যারিসে আসবার কারণ ছিল একাধিক। প্রথমত মিস্টার ও মিসেস লেগেট এখানকার প্রদর্শনী দেখতে চলে আসছিলেন, দ্বিতীয়ত স্বামীজীও উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন ধর্ম–ইতিহাস সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য। আমেরিকা ঘুরে তিনি ফ্রান্সে পৌঁছন আগস্টের তিন তারিখে। তাঁর কাছে ততদিনে এসে গেছে প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য ‘কংগ্রেস অব দি হিস্টরি অব রিলিজিয়নস্‌’-এ বক্তৃতা দেওয়ার আমন্ত্রণপত্র। যদিও নানা কারণে শেষ অবধি এই সম্মেলনটি হতে পারেনি। 

ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদপত্রে এই প্যারিস প্রদর্শনী এবং সেখানে স্বামীজী আর জগদীশচন্দ্রের যোগদান বিষয়ে বেশ কিছু খবর প্রকাশিত হয়েছিল, তার একটা নমুনা আমরা দেখে নিতে পারি। দক্ষিণ ভারতের ‘মারাঠা’ পত্রিকায় ৮ জুলাই, ১৯০০ লিখিত হয়েছিল জগদীশচন্দ্র এখানে যোগ দিতে যাচ্ছেন সেই খবর, এবং তারপরে— ‘প্যারিসে মহাপ্রদর্শনীতে নিমন্ত্রিতদের মধ্যে আছেন আর এক বিখ্যাত ভারতীয়, স্বামী বিবেকানন্দ; তিনি আমেরিকা থেকে প্যারিসে যাচ্ছেন, আমরা তা জানতে পেরেছি। মহাপ্রদর্শনীতে ধর্মমহাসভা অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে হিন্দুধর্মের পক্ষ সমর্থন করাই হবে স্বামীজীর উদ্দেশ্য। এবং অধ্যাপক বসু এমন দুই ব্যক্তি যাঁরা নিশ্চিতভাবে যথেষ্ট পরিমাণে মনোযোগ আকর্ষণ করবেন।’ (* বিবেকানন্দ ও সমকালীন ভারতবর্ষ, ৫ম খণ্ড, পৃ ২৮৭) 

জগদীশচন্দ্র প্যারিসে পৌঁছন আগস্ট মাসের গোড়ার দিকে। এখানে সম্মেলনে তিনি যে বক্তৃতা দেন, সেটা খুবই সমাদৃত হয়েছিল। তাঁর বক্তৃতার বিষয়বস্তু ছিল ‘জড় ও জীবিত বস্তুর মধ্যে বৈদ্যুতিক উত্তেজনায় একই ধরনের আণবিক প্রতিক্রিয়া’। 

এই কাজে তিনি ব্যবহার করেছিলেন তাঁরই তৈরি ‘ম্যাগনেটিক লিভার রেকর্ডার’ যন্ত্রটি। এর সাহায্যে দেখালেন যে জড়বস্তু এবং জীবিত কোনও প্রাণীর পেশির মধ্যে দিয়ে বৈদ্যুতিক প্রবাহ চালনা করলে দুটোই একই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায়। ব্যাপারটা তিনি অনেকগুলি রেখাচিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করেছিলেন। তবে মোটামুটি এই সময় থেকেই তাঁর গবেষণালব্ধ ফলাফল ও দেশের বিভিন্ন পেপারে প্রকাশিত হতে থাকায় পরিস্থিতি কিছুটা বিপজ্জনক দিকে বাঁক নিতে শুরু করে। ক্রমে বিতর্কিত হতে শুরু করেন তিনি। সেই প্রসঙ্গ এই লেখায় আনবার সুযোগ নেই। 

তবে সে বিতর্কিত বিষয় যা-ই হোক, প্যারিস শহরে সস্ত্রীক জগদীশচন্দ্রের আপ্যায়নে কোনও ত্রুটি ছিল না। অনুষ্ঠান-মঞ্চের বাইরেও, শহরের নানা জায়গায় তাঁরা কেমন অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন তার এক নমুনা তিনি নিজেই এক চিঠিতে লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথকে: 

‘আর একদিন ‘Eiffel Tower এর উপরে উঠিতেছিলাম। আমি delegate বলিয়া বিনামূল্যে যাইবার অধিকারী। আমার সহধর্ম্মিণী delegate নহেন সুতরাং তাঁহার জন্য ৫ ফ্রাঙ্ক দিতে হইল। ফরাসী ভাষায় আমার অধিকার ত জানেন। আমার অবস্থা দেখিয়া একজন ইংরাজী ভাষায় দক্ষ ফরাসী আমার নিকট আসিয়া বলিলেন Can I be of any service— এবং নিজের card দিলেন। আমার কার্ড দেখিয়াই বলিয়া উঠিলেন Bose! Surely not Jagadish Bose!! (এ দেশে আমি জগদীশ বসু বলিয়া পরিচিত, কারণ আরও জার্ম্মান বসু আছে) পরে যখন জানিলেন আমিই তিনি, তখন যে ব্যক্তি আমার নিকট হইতে বসুজায়ার জন্য টিকিটের মূল্য লইয়াছিল তাহাকে যৎপরোনাস্তি তিরস্কার করিতে লাগিল,-- আমাদের অতিথি বিখ্যাত বিদেশি, তাঁহার নিকট টিকিটের মূল্য প্রার্থনা একান্ত দোকানদারী ইত্যাদি।’ (৩১ আগস্ট ১৯০০ তারিখে রবীন্দ্রনাথকে লেখা চিঠি) 

অন্যদিকে স্বামীজী উপস্থিত ছিলেন জগদীশচন্দ্রের ওই বক্তৃতা-সভায়। নানা পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য থেকে এটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক যে স্বামীজীর সঙ্গে জগদীশচন্দ্রের ঘনিষ্ঠতা এই সময় থেকেই শুরু হয়। শঙ্করীপ্রসাদ বসু লিখছেন ‘প্যারিসে থাকাকালেই জগদীশচন্দ্র বসুর সঙ্গে স্বামীজীর পরিচয় ও সৌহার্দ্য ঘনিষ্ঠতর হয়ে ওঠে।’ (* সমকালীন ভারতবর্ষ, ৫ম খণ্ড, ৩০২ পৃ)। তবে এই দু-জনের মধ্যে প্রথম পরিচয় কবে, সেটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। আমরা জানি, মহেন্দ্রলাল সরকারের ‘কালটিভেশন অভ সায়েন্স’-এর এক সভায় জগদীশচন্দ্র, স্বামীজী এবং নিবেদিতা— এঁরা প্রত্যেকেই উপস্থিত ছিলেন এবং হাজিরাখাতায় স্বাক্ষরও করেছিলেন। 

স্বামীজীর ‘পরিব্রাজক’-এ এ ব্যাপারে যেটুকু আছে, তা এইরকম: 

‘আজ ২৩এ অক্টোবর; কাল সন্ধ্যার সময় প্যারিস হতে বিদায়। এ বৎসর এ প্যারিস সভ্যজগতের এক কেন্দ্র, এ বৎসর মহাপ্রদর্শনী। নানা দিগ্‌দেশ-সমাগত সজ্জনসঙ্গম। দেশ-দেশান্তরের মনীষিগণ নিজ নিজ প্রতিভাপ্রকাশে স্বদেশের মহিমা বিস্তার করছেন আজ এ প্যারিসে। এ মহাকেন্দ্রের ভেরীধ্বনি আজ যাঁর নাম উচ্চারণ করবে, সে নাদ তরঙ্গ সঙ্গে সঙ্গে তাঁর স্বদেশকে সর্বজন সমক্ষে গৌরবান্বিত করবে। আর আমার জন্মভূমি— এ জার্মান ফরাসী ইংরেজ ইতালী প্রভৃতি বুধমণ্ডলী-মণ্ডিত মহা রাজধানীতে তুমি কোথায়, বঙ্গভূমি? কে তোমার নাম নেয়? কে তোমার অস্তিত্ব ঘোষণা করে? সে বহু গৌরবর্ণ প্রাতিভমণ্ডলীর মধ্য হইতে এক যুবা যশস্বী বীর বঙ্গভূমির— আমাদের মাতৃভূমির নাম ঘোষণা করলেন— সে বীর জগৎপ্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক ডাক্তার জে. সি. বোস! একা যুবা বাঙালী বৈদ্যুতিক আজ বিদ্যুদ্‌বেগে পাশ্চাত্য-মণ্ডলীকে নিজের প্রতিভামহিমায় মুগ্ধ করলেন— সে বিদ্যুৎসঞ্চার, মাতৃভূমির মৃতপ্রায় শরীরে নবজীবন-তরঙ্গ সঞ্চার করলে! সমগ্র বৈদ্যুতিকমণ্ডলীর শীর্ষস্থানীয় আজ জগদীশ বসু— ভারতবাসী, বঙ্গবাসী, ধন্য বীর! বসুজ ও তাঁহার সতী সাধ্বী সর্বগুনসম্পন্না গেহিনী যে দেশে যান, সেথায়ই ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেন— বাঙালীর গৌরব বর্ধন করেন। ধন্য দম্পতি!’ (স্বামীজীর বাণী ও রচনা, ৬ খণ্ড, ‘পরিব্রাজক’ গ্রন্থ থেকে) 

এই সফর চলাকালীনই, এরপর প্যারিসে এসে উপস্থিত হন নিবেদিতা, এবং আরও এক মধ্যবয়স্ক স্কটিশ ব্যক্তি। যাঁর সঙ্গে নিবেদিতার মাধ্যমেই আলাপ হবে জগদীশচন্দ্রের, এবং পরবর্তীকালে তিনিই ইংরেজিতে লিখবেন জগদীশচন্দ্রের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জীবনী। 

হ্যাঁ, তাঁর নাম প্যাট্রিক গেডিস। 

.................

 

#Jagadish Chandra Bose #Sister Nivedita #silly পয়েন্ট

Leave a comment

All fields are required. Comment will appear after it is approved.

trending posts

newsletter

Connect With Us

today's visitors

94

Unique Visitors

184388